আগের ধারাবাহিক...
ঢাকা শহরে
ঢাকা শহরে কোন মাঠ নাই।
ঢাকার ছাদগুলি হচ্ছে মাঠ।
সরু সরু রাস্তাগুলি অন্ধকারে ডুবে আছে।
তুমি তোমাদের ছাদের ছোট মাঠটাতে দাঁড়িয়ে
তাকিয়ে আছো শ্রাবন মাসের পূর্নিমার চন্দ্রোদয় দেখবে বলে।
মনে পড়ছে কি আষাঢ়ের প্রথম দিনের কথা?
আকাশ ভর্তি কালো উড়ে যাওয়া মেঘগুলিতে
শহরের আলো পড়ে সাদা দেখাচ্ছিল
মাঝে মাঝে ফাঁকা, সেখানে অনেক দূরের মহাশুন্য পর্যন্ত শুন্য আকাশ
তুমি কথা বলতে বলতে
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে
যেন আমি তোমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছি
তুমি প্রায় আমার সমান উচ্চতায় থেকে
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে
কিছুটা ঘোরলাগা কন্ঠে বললে, আমি ভালবাসি তোমাকে...
আমি তোমাকে চাই আমি তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যেতে চাই
তারপর বললে তারপর বললে বললে তারপর
বিরবির করে শুন্য মুহূর্তের দিকে বললে
যা বোঝা গেল আবার বোঝা গেল না
শ্রাবন মাসের আকাশ ঢেকে ফেলা কাঁচা পাকা মেঘ
কেমন গম্ভীর, বয়স্ক আর দুষ্টুমির ভিতর থেকে
পূর্নিমার চাঁদকে তোমার চোখ থেকে লুকিয়ে রেখেছে
কিন্তু আমি জানি, তোমার দুচোখ ভিজে আসছে কান্নায়
সেদিন যে কথাটা বলেও শেষ করতে পারনি
আমরা মুখোমুখি আসতে পারিনি বলে
সেটাই প্রতিনিয়ত তুমি বলে যাচ্ছ
চাঁদ উঠুক না উঠুক
বৃষ্টি হোক না হোক
চোখ ভিজে ওঠে শ্রাবন মাসে।
ঢাকায় কোন
ঢাকায় কোন শ্রাবন মাস নাই।
বছর বছর শুধু বন্যার কষ্ট
ঢাকার কোন হৃদয় নাই।
মিরপুরে হৃদয় নাই। কচুক্ষেতে হৃদয় নাই। বাড্ডায় হৃদয় নাই।
হৃদয় নাই শ্যাওড়াপাড়ায়, যাত্রাবাড়ি, উত্তরখানে।
ক্যান্টনমেন্টের হৃদয়হীনতা সারা শহরে।
যখন কেউ মধ্যরাতে আর্তনাদ করে ওঠে
সেই আর্তনাদ ঘরের এককোনায় আটকে থাকে,
যখন কেউ গুমরাতে থাকে বিরহে
তখন তা এক চিলতে বারান্দার মধ্যে বসে থেকে।
একরুম থেকে আরেক রুমে পায়চারী
রান্নাঘর থেকে পানির জগ ভরে নেবার চেষ্টা
টেবিলে কাগজ পড়ে থাকে, কলমের অভাবে তোমাকে লেখা হয় না।
শ্রাবন মাসে তুমি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে
উঠানের কাদায় পা ডুবিয়ে গভীর রাতে ফোন করে যাচ্ছো
আর আমি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে কিছুই শুনতে পাচ্ছি না!
সত্য সত্যই কি আমার ষাটভাগ বাস্তবতার মাঝে
তুমি চল্লিশভাগ কল্পনা কোথাও আছো?
গতসপ্তাহে আমিওতো গিয়েছিলাম পাহাড়ে
তুমি ছিলে রাজধানীর বিছানায়
আমি যত আবেগে, সেই মধ্যরাতে
সাপ আলিঙ্গন আর ব্যাঙের পাহারায়
ঘরের বাইরে, নিরালায়
তোমাকে চেয়েছিলাম ফোনের ইশারায়
প্রায় সারারাত নিষিদ্ধ আগ্রহে
তোমাকে টেনে বের করেছিলাম
নিঘৃুম নীল রাতের পোষাকে
আজ একি হলো
তুমি গেলে নীল যমুনার পাড়ে
যেখানে গ্রাম টাঙ্গাইলের শ্রাবনে
নৌকায় করে তোমাকে টানার কথা
সেখানে নাকি শুকনা খটখটে
নদীর বুকে ঘনঘটা নাই ঢেউয়ের
তুমি ফিরে এলে ঝগড়ার ছলনায়
পাশের ঘরে শাশুড়ির নাক ডাকা
জেগে থেকে পার করে দিলে নিশি ভোর
অথচ দেশে ফিরে এলো খুব ভোট
নির্বাচিত, পুরানো যত চোর
কিছুই বদলায় না, অন্তত বদমাস,
বদলায় শুধু আমাদের যা হবার কথা
আমরা যখন রাত জেগে থাকি শ্রাবনেপ্রেমের দেবতা রাস্তায় নামে মাগনে!
ঢাকা শহরে কোন মাঠ নাই।
ঢাকার ছাদগুলি হচ্ছে মাঠ।
সরু সরু রাস্তাগুলি অন্ধকারে ডুবে আছে।
তুমি তোমাদের ছাদের ছোট মাঠটাতে দাঁড়িয়ে
তাকিয়ে আছো শ্রাবন মাসের পূর্নিমার চন্দ্রোদয় দেখবে বলে।
মনে পড়ছে কি আষাঢ়ের প্রথম দিনের কথা?
আকাশ ভর্তি কালো উড়ে যাওয়া মেঘগুলিতে
শহরের আলো পড়ে সাদা দেখাচ্ছিল
মাঝে মাঝে ফাঁকা, সেখানে অনেক দূরের মহাশুন্য পর্যন্ত শুন্য আকাশ
তুমি কথা বলতে বলতে
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে
যেন আমি তোমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছি
তুমি প্রায় আমার সমান উচ্চতায় থেকে
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে
কিছুটা ঘোরলাগা কন্ঠে বললে, আমি ভালবাসি তোমাকে...
আমি তোমাকে চাই আমি তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যেতে চাই
তারপর বললে তারপর বললে বললে তারপর
বিরবির করে শুন্য মুহূর্তের দিকে বললে
যা বোঝা গেল আবার বোঝা গেল না
শ্রাবন মাসের আকাশ ঢেকে ফেলা কাঁচা পাকা মেঘ
কেমন গম্ভীর, বয়স্ক আর দুষ্টুমির ভিতর থেকে
পূর্নিমার চাঁদকে তোমার চোখ থেকে লুকিয়ে রেখেছে
কিন্তু আমি জানি, তোমার দুচোখ ভিজে আসছে কান্নায়
সেদিন যে কথাটা বলেও শেষ করতে পারনি
আমরা মুখোমুখি আসতে পারিনি বলে
সেটাই প্রতিনিয়ত তুমি বলে যাচ্ছ
চাঁদ উঠুক না উঠুক
বৃষ্টি হোক না হোক
চোখ ভিজে ওঠে শ্রাবন মাসে।
ঢাকায় কোন
ঢাকায় কোন শ্রাবন মাস নাই।
বছর বছর শুধু বন্যার কষ্ট
ঢাকার কোন হৃদয় নাই।
মিরপুরে হৃদয় নাই। কচুক্ষেতে হৃদয় নাই। বাড্ডায় হৃদয় নাই।
হৃদয় নাই শ্যাওড়াপাড়ায়, যাত্রাবাড়ি, উত্তরখানে।
ক্যান্টনমেন্টের হৃদয়হীনতা সারা শহরে।
যখন কেউ মধ্যরাতে আর্তনাদ করে ওঠে
সেই আর্তনাদ ঘরের এককোনায় আটকে থাকে,
যখন কেউ গুমরাতে থাকে বিরহে
তখন তা এক চিলতে বারান্দার মধ্যে বসে থেকে।
একরুম থেকে আরেক রুমে পায়চারী
রান্নাঘর থেকে পানির জগ ভরে নেবার চেষ্টা
টেবিলে কাগজ পড়ে থাকে, কলমের অভাবে তোমাকে লেখা হয় না।
শ্রাবন মাসে তুমি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে
উঠানের কাদায় পা ডুবিয়ে গভীর রাতে ফোন করে যাচ্ছো
আর আমি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে কিছুই শুনতে পাচ্ছি না!
সত্য সত্যই কি আমার ষাটভাগ বাস্তবতার মাঝে
তুমি চল্লিশভাগ কল্পনা কোথাও আছো?
গতসপ্তাহে আমিওতো গিয়েছিলাম পাহাড়ে
তুমি ছিলে রাজধানীর বিছানায়
আমি যত আবেগে, সেই মধ্যরাতে
সাপ আলিঙ্গন আর ব্যাঙের পাহারায়
ঘরের বাইরে, নিরালায়
তোমাকে চেয়েছিলাম ফোনের ইশারায়
প্রায় সারারাত নিষিদ্ধ আগ্রহে
তোমাকে টেনে বের করেছিলাম
নিঘৃুম নীল রাতের পোষাকে
আজ একি হলো
তুমি গেলে নীল যমুনার পাড়ে
যেখানে গ্রাম টাঙ্গাইলের শ্রাবনে
নৌকায় করে তোমাকে টানার কথা
সেখানে নাকি শুকনা খটখটে
নদীর বুকে ঘনঘটা নাই ঢেউয়ের
তুমি ফিরে এলে ঝগড়ার ছলনায়
পাশের ঘরে শাশুড়ির নাক ডাকা
জেগে থেকে পার করে দিলে নিশি ভোর
অথচ দেশে ফিরে এলো খুব ভোট
নির্বাচিত, পুরানো যত চোর
কিছুই বদলায় না, অন্তত বদমাস,
বদলায় শুধু আমাদের যা হবার কথা
আমরা যখন রাত জেগে থাকি শ্রাবনেপ্রেমের দেবতা রাস্তায় নামে মাগনে!
1 comment:
"মিরপুরে হৃদয় নাই। কচুক্ষেতে হৃদয় নাই। বাড্ডায় হৃদয় নাই।
হৃদয় নাই শ্যাওড়াপাড়ায়, যাত্রাবাড়ি, উত্তরখানে।
ক্যান্টনমেন্টের হৃদয়হীনতা সারা শহরে।"
অদ্ভূত সত্যি উপলব্ধি!
Post a Comment