Saturday, December 18, 2010

পাহাড়ি ব্যবহারগুচ্ছ

মোঘর সিরিজ 

কখন জলপাই ঝরবে

কখন জলপাই ঝরবে গাছ থেকে টুপ করে?
ছেলেরা ঘুরঘুর কর্ছে দলবেধে
মোনঘরের টেম্পাংশালা’র সামনে

জলপাই গাছটা ছোট কিন্তু
কাছেই বিশাল একটা ইউক্যালিপটাস
ফল গাছকে আড়াল করে রেখেছে
বালক শ্রমণকে জিজ্ঞাসিলাম: তুমি কী খেল?
সে বলে: ‌আমাদের খেলার নিয়ম নাই

স্থানীয় এমপি ভাল ঝগড়া করতে পারে
তাই সে ঝগড়া বিলে একটা ব্রীজ উদ্বোধন করেছে

কল্পনা হল ভবিষ্যতের দেখা
মোনঘর হল বর্তমানের ডাকঘর
বালক বালিকাদের মনের মধ্যে চিঠি বিলি করা তার কাজ

জংগলের মধ্যে একটা খেদা
তারমধ্যে ঘোৎঘোৎ করে ভয় পাচ্ছে আমাকে দেখে
দুজন শাদা কালো গাভীন শুয়োর
মানুষের চেয়ে আরো মানুষি ভয়ার্ত করুন কবি চোখে

কালোজনের নাম মুস্তফা আনোয়ার, শাদাজন আবিদ আজাদ

পরলোকের পাহাড়ি শালের বনে
ওঁরা দুজন আমার কন্ঠস্বরকে এত ভয় পাচ্ছে কেন??
আমি কফিল আর চয়ন কে সাথে নিয়ে ক্রমাগত
চাটগাইয়া টোনে বলছিলাম:
‌‌’‌কেমন আছেন যে?, ‌কেমন আছেন যে!’


তোমার চঞ্চুতে আমি

তোমার চঞ্চুতে আমি পাহাড়ি ছড়ার পথে এলেমেলো সাধ
তোমার গালে আমি জলপাই শিকারী
কুমারী গংগা পুজার নৈবেদ্য

এখানে নিজেকে নগ্ন করা যায়,
জনসংখ্যার চাপে
বাংলাদেশের জন্য যা অব্যবহারিক!

সরলতা মানে শুদ্ধতা
শত্রু কিন্তু সর্বদা খারাপ লোক নয়।

কবিতা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
কবিতা পড়লাম বন্দরে, পাহাড়ে।
তারপর গড়াগড়ি খেতে খেতে
বালি বিছানো ঝিরি ধরে পৌছে গেলাম

দেখা পেলাম পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন এক স্পা,
যে একেবারে স্বচ্ছ, স্পষ্ট!


খাতুরি কলা খান, ভান্তে

খাতুরি কলা খান, ভান্তে, পাকা রাস্তার ধারে
ডান গালে হাসেন
সকাল বারটার পরে আর খানা নাই
কাঁচা মরিচ হারাবে পাহাড়ে

কচি মুখগুলি জলপাই পাতায়
বইখাতা সম্মোহনে
আদাঝুম রোদে
বারুদের প্রয়োজন অস্পষ্ট হয়ে আসে

শিশুরা পাহাড়ে কি সাবলীল কল্পনা
মুখের পরিচয়ের কথা মনে পড়ে না
রান্নাঘরে রাইসরিষা শাকের মহিমা বাড়ে
কার জমি, কে চাষ করে

সবচে মর্মান্তিক হল নিজের দেশের মধ্যে অভিবাসন
যেমন ধর্মচ্যুত হলে মর্মে সুখ নাই
দেহ ঝুঁকি নেয়, প্রাণ তো মানে না

ভবিষ্যতের চিত্র পাচ্ছি আজকের পাহাড়ি সংকেতে

Wednesday, July 7, 2010

কুদরত ই মাওলা: কা.শা. কবিতার ফৃ অনুবাদ

Hullabaloo or Tacit

Original Poems by: Kajal Shaahnewaz
Translated by: Qudrat-e-Moula
অনুবাদ: কুদরত ই মাওলা

কাজল শাহনেওয়াজের কবিতার ফৃ অনুবাদ : চয়ন খায়রুল হাবিব‌

Hullabaloo or Tacit
Original Poems by: Kajal Shaahnewaz
Translated by: Choyon Khairul Habib



কাজল শাহনেওয়াজের কবিতার ফৃ অনুবাদ : চয়ন খায়রুল হাবিব

Friday, April 23, 2010

প্রকাশিত গল্প: নমরুদের তীর

‘আলী, চা!’
 
      ম.আলী চা আনে, দীর্ঘ শরীর টলটলে, চা’র কাপ ম্যাজিকের মতো নিয়ে আসে। মধ্যরাতের প্রাচীন ঘন্টা বাজে ইলেক্ট্রনিক্সে। ‘দাও, চা, সিগারেট।’ ঘন্টাধ্বনি টুং টাং, এই পর্যন্তই, কুহক বাজে না। কুহক বাজে না। কোথাও কুহক নেই বলে; তাও নয়, কুহক দরকার নেই। দরকার সময়। চাকার নিচে পিসে যাওয়া চামড়ার বল, ল্যাপটানো টিন রঙের সময়। চিৎ ও অনড়।

Monday, January 11, 2010

গোফ আছে তাই গোফ রেখেছি

গোফ আছে তাই গোফ রেখেছি

গোফ আছে তাই গোফ রেখেছি
ওটার দিকে এমন কাতুর কুতুর তাকাচ্ছো কেন?
বৃষ্টি আসলে আমি ঠিকই ছাতি খুলতে পারি।

Sunday, January 10, 2010

গল্প: আমার বন্ধু এনাম

একটু আগেই আমার বন্ধু ফ্লা.লে. (অব.) এনামকে নিঝুম কবরে কবরস্ত করে এলাম।
ঢাকা শহরের ব্যস্ত বুকে যে এমন একটা নিশ্চুপ নিরিবিলি শেষ শয্যার ব্যবস্থা আছে,
ধারণাই ছিল না। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ধন্য, ধন্য তাদের যারা আগে
থেকেই এমন একটা জায়গা পরিকল্পনা করে রেখেছিল।