আচ্ছা, আপনার গল্প পড়ে কখনও কখনও আমার মনে হয় যে, মাহমুদুল হকের ভাষা, উপমা, শব্দের দ্যুতিময়তা আপনাকে খুবই আকর্ষণ করে। তাঁর ভিতরে যে বিষয়গুলি একটু সহজভাবে বলে দেয়া, একটু হেয়ালিপনা, অপ্রচলিত উপমা ব্যবহার - এসব কিন্তু আপনার লেখায় পাই।
শুধু মাহমুদুল হক নয়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান আজিজুল হক বা অন্য লেখকদের লেখাও আমি ভালোভাবে পাঠ করেছি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, দীপেন্দ্রনাথ বলেন, বুদ্ধদেব বসু, সতীনাথ ভাদুড়ি, কমল কুমার... তারাশংকর, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ এঁদের যে কথা বলার ভঙ্গি তা আমার ভীষন পছন্দের। আমার কথকতায় এঁদের প্রভাব থাকবে না তো কার থাকবে? এটা আমি ভাবতেও পারি না যে তা কিভাবে হয়। তা হয়ত গদ্যের নিজস্ব পদ্ধতির কারণে হতে পারে। আমি কিন্তু অনেক লেখকের মতো নিষ্ঠুর বা মোলায়েম দুইধরনের গল্পই লিখতে চাই। পৃথিবীর অনেক লেখকের ভিতরই এই জেনেরিক কোয়ালিটির মিল আছে ।
গল্পকারের লেখার বিষয় তো এল, এখন আপনার সময়ের মানে ৮০-এর কোন লেখকের নাম কি বলবেন যাদেরকে আপনার উল্লেখযোগ্য মনে হয়।
একটা লেখাকে মুগ্ধতার চোখে দেখা একজিনিস আবার ক্লিনিক্যালি দেখাটা ভিন্ন জিনিস। আমরা যেহেতু সমসাময়িক লেখক, আমাদের অনেকেরই জেনেরিক মিল আছে, তবে অমিলটাও কম না। আমার সময়ের গল্পকারের লেখা অবশ্যই পড়ি। তবে সেখানে লেখাটির ট্রিটমেন্ট, ভাষার ধরন, একটা চরিত্রের কয়েকটা মুহূর্ত এই সবই আমাকে ভীষন আনন্দ দেয়, আবার গভীর বিষাদে থরে দেয় ওদের কোন কোন চ্যুতি তে। আমার সমকালীনদের ভিতর অনেকেই ভালো লিখেছেন এবং ভবিষ্যতেও ভালো লিখবে।
এবার ভাষা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক, এইক্ষেত্রে এও বলতে হয়, আপনি কিন্তু ভাষার বেশ জোর দেন। এর ভাঙচুর করেন। ভাষায় আঞ্চলিক আবহ দেন, লৌকিক ক্রিয়াও অনায়াসে ব্যবহার করেন। তো ভাষার এই যে ধরন তা কি মানভাষার মান রাখার ব্যাপারে কোনো সমস্যা করে না।
জীবনযাপনের একটা ব্যাপার। ভাষাও সেইভাবে আমার লেখার ধরনে বদলায়। এমন কথা চালু আছে যে, ইলিয়াস পুরানো ঢাকার বদ্ধভাষা নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আচ্ছা, ইলিয়াস যদি এখন একটা লেখা লিখতেন, তাহলে ঢাকার চতুর্প্রান্তে যে নতুন ঢাকা তৈরি হচ্ছে, সেখানে কি একটা মিক্সড ভাষার সন্ধান তিনি করতেন?। একজন হয়ত কৃষিজীবীর আবহ থেকে শ্রমিকের আবহতে মিক্সিং হচ্ছে। ভাষাও কিন্তু ওইখানে নতুনভাবে তৈরি হয়। আসলে প্রাণময় ভাষা তো ওইটাই। আমার ধারণা, ইলিয়াস এই সময়ে লিখলে কিন্তু ওইরকম ভাষাতেই লিখতেন। জীবনের প্রয়োজনে যে ভাষার উদ্ভব সেটাই তো আসল ভাষা। মানে হচ্ছে, ইহলৌকিকতা, পারলৌকিকতা, ভালোবাসা, যৌনতা ইত্যাদির প্রয়োজনেই নতুন ভাষাভঙ্গি পাওয়া যায়। মাহমুদুল হকের ভাষায় দেখবেন কলকাতার একটা স্টাইল আছে। এটা ঠিক পুর্ববঙ্গীয় নয়। পরে জানা গেল, ওঁর মা ওইভাবে অলঙ্কার দিয়ে কথা বলতেন। আপনার কথকতার জন্য একটা স্টাইল তো আপনাকে খুঁজে নিতেই হবে। স্টাইলই ভাষাকে কাছে টেনে নেয়। সৃজনশীলতা, বলার বিষয়, শিল্পতা এসবকিছু মুক্ত ভাষাকে নতুন মাত্রা দেয়। মুক্ত ভাষা ছাড়া সাহিত্য হয় না এবং এসবই মাননীয় ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখে। এমন কোনো কিছু সাহিত্যের ভাষা হতে পারে না যা সৃজনশীলতার গভীরতা দিবে না। আঞ্চলিকতা কিন্তু একটা বিশেষ জিনিস, এটা এক ধরনের আদিগোষ্ঠির এক্সপ্রেসন। আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা বই হচ্ছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর আঞ্চলিক ভাষার অভিধান। এর সব শব্দ দিয়ে সাহিত্য হবে না, কিন্তু এ ভিতর যে সৌন্দর্যটা আছে, উদাহরণে যে কথা বলার ভঙ্গিটা দেয়া আছে, তা জরুরী। আপনার কান-এর রেওয়াজ করার জন্য। আঞ্চলিক ভাষার টেকনিকটা আত্মস্থ করার চেষ্টা করি। মানুষের কথাভঙ্গিই হয়তো চিন্তা।
আচ্ছা, আপনাদের ফৃ স্ট্রিট স্কুল নামের লিটল ম্যাগাজিন-এর পরবর্তী পরিকল্পনা কি?
আমি এটা চালিয়ে যেতে চাই। একেক সময় একেক ফর্মে হয়ত। যেমন গতবছর চারটি কাব্য গ্রন্থিকা বেরিয়েছে: খায়রুল হাবিব-এর 'গরম কাদার ক্যান্টো', আহমেদ মুজিব-এর 'শুধু টের পাই আমি', আবু আহসান-এর 'সেলিমের চোখ' আর আমার নিজের 'আমার শ্বাসমূল'। এবছর বের হচ্ছে চয়ন খায়রুল হাবিব-এর চতুর্দশ পংক্তির কবিতা বই ‘রেঙ্গুন সনেটগুচ্ছ’ ও আমার কবিতার ইংরেজি রূপান্তর 'Hullabaloo or Tacit’
আমরা দেখেছি, একসময় আপনি শুধু লিটল ম্যাগাজিনেই লিখতেন, কিন্তু পরবর্তীতে আপনার লেখা প্রথম আলোতেও দেখলাম। এটা কি একধরনের বিচ্চুতি নাকি বড় কাগজে লেখাটা দরকারি কাজ মনে করছেন?
এইক্ষেত্রে আমি আমার মূল ট্রেইন্ডটা কি তাই বলি। আমার মূল এটিচিউড কিন্তু আনঅর্থোডক্সকে প্রাধান্য দেয়া। আমি যখন শুধুমাত্র লিটল ম্যাগাজিনেই লিখছি, তখনও কিন্তু লিটল ম্যাগাজিনপনার ভিতর ছিলাম না।
এই পনাটা কি?!
পনাটা হলো প্রিটেনশন, আপনি যদি চোখ বন্ধ করে দশটা লিটল ম্যাগাজিন নেন, তাতে এর লেখক নির্বাচন, সম্পাদকীয়, ছাপার পদ্ধতি, টাইপ সেটিং, এই-সেই সব একই। আমি মনে করি, লিটল ম্যাগাজিনচর্চা হবে একটা গ্রুপের ব্যাপার - তা বিশেষভাবে একসাথে হওয়া, কাজ করা। এই গ্রুপে পাঁচজন যদি থাকে তারা পাঁচরকম লিখবে। তাদের বিশ্বাসও একরকম না। ওরা সবাই মিলে একটা বিশেষধরণের বিশ্বাসকে ধারণ করে। তাদের কাছে ক্রিয়েটিভিটিটাই মুখ্য। আমার কাছে মনে হয়, লিটল ম্যাগাজিন শব্দটাই এই পারপাস সার্ভ করে না এখন। আর প্রাতিষ্ঠানিকতা বলেন? সেটা কী? আমরা যেটাকে রেজিমেন্টেশন বললাম তা শুধু পোষাকেই নয়, অন্য অনেক কিছুতেই প্রকাশ পায়। সাহিত্যের শত্রু হচ্ছে এই রেজিমেন্টেশন, আপনি কি কোন ফ্রেমের ভিতর আটকে বসছেন কিনা। লিটল ম্যাগাজিনের সাথে যখন কেউ তার ক্যারিয়ার, পেশা, স্বার্থের ব্যাপার যুক্ত করে ফেলে, তখন কিন্তু তার এখান থেকে প্রস্থানের সময় হয়ে এসেছে। আমি মনে করি এটা হল বিজ্ঞাপন বিরোধী লাভবিহীন একটা চেষ্টা যার উদ্দেশ্য সাহিত্য প্রকাশ আর লক্ষ নতুন মাত্রা। কম বয়স হলেই যেমন লিটল ম্যাগাজিনের ফৃ ভিসা পাওয়া যাবেনা, তেমনি আজীবন পাসপোর্টও কেউ এর কাছ থেকে পায়না। আমার দৈনিকে লেখালেখির কোন স্পষ্ট কোন কারন বা উদ্দেশ্য নাই। কারণ এর থেকে কোন ফায়দা-ই আমার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। আপনি করেন? তাহলে বলেন তো শুনি। আগেই বলেছি সব ধরণের প্রিটেনশান থেকে মুক্ত থাকাই আমার চেষ্টা। জগতে নেই কোন বিশুদ্ধ পত্রিকা।
এটাও কিন্তু রাজনীতির ব্যাপার, সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা, প্রতিষ্ঠানের ঝামেলা ইত্যাদির জন্য ক্রিয়েটিভিটির একটা যথার্থতার ব্যাপার তো আছেই।
এখানে প্রত্যেকটা জিনিসই লেখকের প্রতিপক্ষ। যে প্রকৃত ক্রিয়েটিভ, সে তো যেটা নাই সেটা সে করতাছে। আপনি যে একটা ক্যারেক্টার নিলেন, ধরেন সে দেশের ল এন্ড অর্ডারএ সন্তুষ্ট না। সাহিত্য যদি সত্য প্রকাশের জিনিস হয়, তাহলে তো অটোমেটিকেলি আপনি এর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছেন। রােষ্ট্রর প্রতি অসন্তুষ্টি আপনার লেখায় চলে আসবে। একটা এরোগেন্ট মানুষ চলে আসবে। বাই ডিফল্ট, আপনি বাউন্ড টু ডু দিস। কেউ যদি সেটা না করে তাহলে তো সে লেখকই না। আমি এই ব্যাপারে খুবই চরমপন্থি আর-কি। এটা যদি সেই লেখককে বুঝাতে হয়, তাহলে তাকে বলা দরকার, এখানে তোমার দরকার নাই, তুমি চলে যাও। আর যদি তুমি বুইঝাই থাকো তাহলে তুমি বুইঝাই এই কাজটা করো। আসলে লেখককে লিখেই দেখানো উচিৎ, অন্য কোনোভাবে দেখানির কিছু নাই।
লেখালেখির সাথে প্রতিষ্ঠানের একটা বিরোধিতা কিন্তু আছেই।
তাই নাকি? তাহলে কি বলবেন গাণ্ডীব-এর সাজ্জাদ শরিফ লিখছে না কারণ সে একটা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব পূর্ণ ব্যক্তি হয়ে গেছে বলে?
সেই হিসাবে গাণ্ডীব সম্পাদক তপন বড়ুয়ার ডেডিকেশনটাকে কিন্তু আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয়। আচ্ছা, তাঁর মৌলিক কাজ কি?
তাঁর ডেডিকেশনের ব্যাপারটা তো আছেই। তপন বড়ুয়া গল্প লেখেন, কিন্তু তিনি নিজেও জানেন যে, অনেকদিন তার লেখা নেই। নিশ্চয়ই তার খারাপ লাগে।
আপনি খুব প্রাঞ্জলভাবেই বললেন যে আপনি লেখালেখিরই ভিতরই শুধু থাকতে চান। গল্পের কথিত দুর্দিনে আপনার এই মানসিক তাড়নাটা বজায় থাকার কারণ কি?
এখন বহুকিছুর সাথে যুক্ত হওয়ার ব্যাপার আছে। ইনফর্মেশন টেকনোলজির এই যুগে বহু কিছু নিয়ে কাজ করার সুযোগ বেড়ে গেছে। তবে সব কিছুকে একসাথে নিয়ে কাজ করাটা জটিল। গডস আর মেনি বাট আই এম এলোন। যার ফলে বহুকিছুর জরুরী চাপ থেকে বাঁচার জন্যই লেখালেখিটা বেশি দরকার। সহজের সহজ আর জটিলের জটিলকে প্রকাশ করার জন্য লেখা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
গল্প নিয়ে কিন্তু একটা কথা চালু আছে যে গল্প নাকি মরে যাচ্ছে! গল্পলিখনের ভাবসাব সম্পর্কেও কিছু বলুন।
এটা একটা দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার। মরে যাওয়ার বিষয়টা কিন্তু অনেক দিন থেকেই চালু। কবিতা মরে যাচ্ছে, গল্প মরে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের পরে তো সবকিছুই মরে গেছিল! ঘূর্ণিঝড়ের পর কি সুন্দরবন মরে যায়? তবে হ্যা, পুরানো মরে যায়, নতুন জন্ম নেয়। আসলে ভালো লেখার সাথে ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টই বড়ো কথা। সে লিখতে পারে কিনা সেটাই হলো কথা। লেখক কিন্তু ওয়ার্কশপ করে বানানো যায় না, ভাল লেখাও। তবে সাহিত্যের একটা প্রিটেনশান হচ্ছে, আমরা এটা বলতেই আগ্রহী যে কিছুই হচ্ছে না। কিছু হলে সেটা বলতে আমরা অনাগ্রহী। আমি গত পনের বছরেও ট্যালেন্টেড ক্রিটিক দেখি নাই। আপনি কথার শুরুতেই গল্পের ওরাল হিস্ট্রির কথা বললেন তো - আসলে আমাদের যা কিছু তার সবই অরাল। এখানে কেউ কাগজে-কলমে কিছু করতে চায় না। এই যে এত আগ্রহ নিয়ে আমরা আজকে বসেছি, এই যে আমার আগ্রহটা আপনি ডকুমেন্টেড করতেছেন, এটাই কিন্তু আমাদের রক্তের মধ্যে নাই। কেউ দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলে না। খালি পুস্তক পরিচিতি। যে ক্রিটিক, সে দুইদিন পরে ফুকো-দেরিদা-ড্যেলুজ ইত্যাদিতে ঘুরপাক খাইতে-খাইতে তার আসল কাজ করা হইয়া ওঠে না। সে আর বোঝেই না যে আমাদের নিজস্ব পৃথিবীটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করব। সে খালি মার্কসের ইশতেহারের আওড়ায়, দুনিয়াকে বদলানোর আগে নিজেকে বদলাও। খালি বলে বদলাইতে, খালি বদলানোর কথা বইলা গেলাম - কি বদলাইতে হবে তা আর বললাম না। ঠিক আছে, এরা ফুকো-দেরিদার কথা বলুক, কিন্তু এটাকে দিয়ে তো নিজের বদলানোর জায়গাটা এক্সপ্লেইন করতে হবে। সেইদিন একটা ছেলের সাথে কথা হলো, সে বলছে, আমাদের এখানে পোস্টকলোনিয়াল লেখক নাই কেন? আমি বললাম, এটা তো ভাই এরকম প্রশ্ন হলো যে ঢাকা শহরে একটা সুন্দর পাহাড় নাই কেন। যেটা নাই সেটা নিয়া আপনি কেন মাথাখারাপ করছেন! যেটা আছে সেটা নিয়া কথা বলেন। জ্ঞানের একটা বিষয় হচেছ, এইটা সর্বত্র একরকম থাকে না। প্রয়োজন একে লোকালাইজ করা। এটা করতে না-পারলে এর প্র্যাকটিক্যাল ইউজটা হয় না।
লালনের অনুসারীরা কিন্তু গুরুবাদে খুব বিশ্বাসী। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হচেছ, নিজেকে আনন্দ দেয়ার জন্য, আনন্দের সাথে নিজেকে বদলানোর জন্য যেখানে যার কাছে যাওয়া দরকার তাই যাওয়া উচিৎ। আমি আমার লালনবান্ধবদের কাছে কোনো এক জলসায় ‘টেসিট’ শব্দটি বলেছিলাম। মানে হৈচৈ-এর ভিতর থেকে যে নিরবতা গড়ে ওঠে তার কথা তুলেছিলাম। ওরা বিষয়টাকে খুব সায় দিয়েছিল।
আমরা কিন্তু পাওয়ার স্ট্রাকচার, রিএকশান ইত্যাদি দিয়ে কিছু বুঝতে চেষ্টা করি। এখন দেশটা যেভাবে বদলে যাচ্ছে, এর ভিতরে থেকে এর বিশৃংখলা থেকে সমাজের শৃংখলাটা বুঝতে হবে। হৈ চৈ থেকে নিরবতাকে বুঝতে হবে।
আপনার সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগল, আপনাকে বেশ কালারফুল মানুষই মনে হচ্ছে।
কালারের কী আর দেখলেনরে ভাই, সেই দিন তো আর নাই। হা...হা...হা...
২৫-০১-০৮/সকাল ১১-দুপুর ২টা
ধানমণ্ডি/ঢাকা
----------------
No comments:
Post a Comment